ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: নতুন রপ্তানি নিয়মের অংশ হিসেবে, ৩৬টি চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ কোম্পানিগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনও ধরনের পণ্য আমদানি না করতে পারে সে ব্যাপারে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষিদ্ধ চীনা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইয়াংজে মেমোরি টেকনোলজিস এবং সাংহাই মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স ইকুইপমেন্ট। এ দুইটি কোম্পানিই চীনের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা কোম্পানি। চীনের চিপ শিল্পের আরো ১৯টি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় রয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে, টেলিকম বিভাগের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান, হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পথ অবলম্বন করেছিল, সে পথ অনুসরণ করেই দেশটি এ ৩৬টি কোম্পানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
এ বিষয়ে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন তালিকাভুক্ত এ ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে ২১ টি কোম্পানিই চীনের সামরিক বাহিনির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রকল্পে কাজ করছে। সাতটি কোম্পানি হাইপারসনিক বিমান, হাইপারসনিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের সাথে যুক্ত। সেই সাথে এ কোম্পানিগুলো সফটওয়্যার মডেলের ক্ষতি করে এমন সব অস্ত্রও নির্মাণ করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনও কোম্পানি মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের অনুমতি ছাড়া এই চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে কোনও ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। এ অনুমতি পাওয়া অত্যন্ত জটিল তাই বলা যেতে পারে, চীনা এ কোম্পানিগুলোর সাথে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব।
জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের নেওয়া বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে এটি একটি।
শিল্প ও নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এলান এস্তেভেজ নতুন রপ্তানি নিয়মগুলোর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, এ নতুন নিয়মগুলো ৭ অক্টোবরে জারি হওয়া নিয়মগুলো থেকে আরো সক্রিয়ভাবে পালন করা হবে। ৭ অক্টোবর, চীনা কোম্পানিগুলোর উচ্চ পর্যায়ের চিপ প্রযুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
এস্তেভেজ বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমতা, উন্নত কম্পিউটিং, সামরিক আধুনিকীকরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অন্যান্য শক্তিশালী ও বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ চীনের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অক্টোবরে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই আজকের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
আই.কে.জে/