ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটি গত মঙ্গলবার জানায় যে, ক্রমবর্ধমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে ইইউ সদস্যদের একটি চুক্তির আওতায় আনা হবে, যার প্রভাব পড়বে চীনা ভ্রমণকারীদের ওপর।
ইইউ-এর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান স্টেলা কিরিয়াকাইডস জানান, কমিটি চীনা ভ্রমণকারীদের জন্য কোভিড পরীক্ষা, বর্জ্য জল পর্যবেক্ষণ, এবং নতুন করোনা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশ চায় চীন থেকে আসা যাত্রীদের প্রস্থানের আগে তাদেরকে কোভিডের জন্য সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হোক।
মঙ্গলবারের বৈঠকের পর কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “অধিকাংশ সদস্য দেশই প্রাক-প্রস্থান পরীক্ষার পক্ষে রয়েছে।”
চীনকে কোভিড প্রাদুর্ভাব রোধে সহায়তা করার জন্য, ইইউ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে।
উল্লেখ্য, চীন সরকার তার শূন্য কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার পরই করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দেশে কোভিডের ক্রমবৃদ্ধি নাগরিকদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
চীনা নাগরিকেরা এই করোনাকে সারা বিশ্বে ছড়াতে পারে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে ইইউ। তাছাড়া চীনে ঠিক কতজন এ রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেছেন এ বিষয়েও অপর্যাপ্ত তথ্য প্রদান করেছে চীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্যের দাবি করেছে।
সাংহাইয়ের এক চিকিৎসক বলেছেন, শহরের ৭০%এরও বেশি নাগরিক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। তবুও বিশ্বজুড়ে চীনা দর্শনার্থীদের জন্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলে এর তীব্র সমালোচনা জানায় চীনা সরকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোসহ যে দেশগুলো চীনা ভ্রমণকারীদেরকে করোনা পরীক্ষার আওতাভুক্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন।
গত মঙ্গলবার, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে চীনকে লক্ষ্য করে কিছু দেশ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা একদম অযৌক্তিক।”
তবে হাস্যকর বিষয় এই যে, অন্যান্য দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য দেশে প্রবেশের কিছু নিয়ম কানুন চীনা সরকার আগেই আরোপ করেছিল। চীনে প্রবেশ করতে গেলেও ভ্রমণকারীদেরকে কোভিড পরীক্ষা করাতে হয়।
আই.কে.জে/