ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শনিবার জানান যে, চীনে কঠোর রীতিনীতির কারণে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষোভে নেমেছে, যার প্রভাব পড়ছে সরকারের উপরেও। কিন্তু এতকিছুর মধ্যে শি জিনপিং এখনো পশ্চিমা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে রাজি নন।
ব্যাপক কোভিড-১৯ কেইসের কারণে চীনে বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। এরই মাঝে শূন্য কোভিড নীতি জনরোষ তৈরি করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বুদ্ধিমত্তার পরিচালক, এভ্রিল হেইনস জানান, ভাইরাসের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব সত্ত্বেও শি এখনো পশ্চিমা ভ্যাকসিন গ্রহণে রাজি নন। তারা এখনো চীনে তৈরি একটি ভ্যাকসিনের উপরই নির্ভরশীল, যা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়।
চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও জনবিক্ষোভের মধ্যে শি’এর সিদ্ধান্তই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তার সিদ্ধান্তের উপরেই দেশের ভবিষ্যত নির্ভরশীল।
চীনে উৎপাদিত ভ্যাকসিনগুলো এমন খারাপ পরিস্থিতিতে বিদেশি ভ্যাকসিনগুলোর মতো এতো কার্যকর হবে না। তবুও শি বিদেশি ভ্যাকসিন গ্রহণে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতেই হোয়াইট হাউস জানিয়েছিলো যে চীনা সরকার কখনোই বিদেশি ভ্যাকসিনের জন্য অনুরোধ জানাননি। দেশটি পশ্চিমা ভ্যাকসিন অনুমোদন দিবে এমন প্রত্যাশাও নেই।
যদিও এটি জাতীয় গর্বেরই বিষয়, তবে এর কিছু নেতিবাচকতা চীনা সরকারের উপরই প্রভাব ফেলবে।