সুখবর প্রতিবেদক: পেঁয়াজের চড়া দামে বাজার গরম। ধাপে ধাপে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এর মধ্যে চালের দাম যেন কোনভাবেই পেঁয়াজের মতো অস্বাভাবিক না হয় এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ রোববার সকালে খাদ্য ভবনে চালকল মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে তিনি এ বার্তা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজের দামের মতো চালের দামও যেন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে না যায়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে। পেঁয়াজ নিয়ে অযথা একটা কেলেঙ্কারি হয়েছে। তাই চাল নিয়ে পেঁয়াজের মতো এ রকম যেন না হয়, সেজন্য আপনাদের ডেকেছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় দেখছি চালের দাম বাড়ছে। তবে এখনো আমাদের মজুদ অনেক বেশি। পেঁয়াজের দামের মতো চালের দাম নিয়েও যেন কোনো সমস্যা না হয়, সহনীয় বাজার যেন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে না যায়।’
তিনি বলেন, ‘ওএমএস ডিলাররা নাকি ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পারে না। তাই ওএমএস ডিলাররা চাল নিতে চায় না। এর অর্থ এই নয় যে আমাদের গুদামে খারাপ চাল আছে। আমাদের বোরো প্রকিউরমেন্টের চাল রয়েছে এবং ভালো চাল রয়েছে। এই চাল ৩০ টাকা দরে কিনতে চায় না। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় এসেছে চালের দাম বেড়েছে। আমরাও তো বাজার মনিটরিং করি। আমরা বাজার মনিটরিংয়ে দেখেছি ফাইন রাইসের (চিকন চাল) দাম কিছুটা বেড়েছে।’
এখন রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে গণভবন পর্যন্ত সবাই চিকন চালের ভাত খায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রফতানি করলে চিকন চালের উপর চাপ পড়বে আর রফতানি হলে তো ফাইন রাইস রফতানি হবে, মোটা চাল রফতানি হবে না। তাই এ চাল রফতানির জন্য আমার তরফ থেকে আমি অনুমোদন দিতে পারব না।