ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের জন্য একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উত্থিত গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোকে জিও তালিকাভুক্ত করেছে। এই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) স্থান এবং মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করে, গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক সুবিধা প্রদানের সম্ভাবনাও রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাশ্মীর জাফরানে জিআই তালিকাভুক্তি স্থানীয় কৃষকদের জন্য ব্যাপক সফলতা বয়ে এনেছে। এই পদক্ষেপটি নেওয়ার ফলে পরবর্তীতে হয়তো এই এলাকার হাতে বোনা কার্পেট এবং অন্যান্য স্থানীয় পণ্যকেও জিও তালিকাভুক্ত করার কথা বিবেচনা করবে সরকার। জিও তালিকাভুক্তির ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলেও আশা করছে স্থানীয়রা।
কর্মকর্তাদের মতে, রাজমাশ, দুগ্ধজাতীয় পণ্য, আনারদানা, মধু এবং অন্যান্য দেশীয় পণ্যগুলিকে জিআই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোকে বিপণন কৌশলের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবে প্রশাসন।
এ ব্যাপারে জম্মুতে দুইদিন ব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজনও করা হয়। উক্ত কর্মশালায় স্থানীয়দেরকে জিআই তালিকাভুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়। সেইসাথে কোন কোন পণ্যকে জিআই তালিকাভুক্ত করা যায় এবং এ নিয়ে ভবিষ্যতে আর কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় এ ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়৷
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষি উৎপাদন ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ বিভাগ কৃষক ও কারিগরদের সুযোগ প্রদানের এবং তাদের উন্নয়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
কর্মকর্তারা জানান, জিআই তালিকাভুক্তি গ্রাম ও শহরের মধ্যে ব্যবধান কমাতে সাহায্য করবে। সেইসাথে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি ঘটাবে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ভৌত, অর্থনৈতিক এবং জ্ঞান সংযোগ তৈরি করবে। সিনহা বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ঐতিহ্যগত জ্ঞান, আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি নীতি বাস্তবায়নে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আই.কে.জে/