ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেছেন, কৃষি ও উদ্যান খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা কৃষকদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। সেই সাথে এ পদক্ষেপগুলো তরুণ উদ্যোক্তাদেরকেও চাষবাসের কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাত্র আট বছরের ব্যবধানে কৃষিখাতে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার, পূর্ব সিয়াং জেলার কৃষি কলেজে বক্তৃতাদানকালে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন প্রোগ্রাম তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে কৃষিকাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।
খান্ডু কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের উপস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সফল কর্মসূচি “সেবা আপকে দ্বার” সম্পর্কে আলোচনা করেন, যার মাধ্যমে কৃষিসেবা কৃষকদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ছয় লাখেরও বেশি মানুষ এই কর্মসূচির সাথে যুক্ত হয়েছেন।
কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতে মনোযোগ প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। তার মতে এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের বাজার সংযোগ আরো সহজতর হবে।
খান্ডু জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সমগ্র রাজ্য জুড়ে বিশাল আয়তনের বাজারের ব্যবস্থা করেছেন। রাজ্যের কৃষি বিভাগ উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক হারে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তাজা কৃষিপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সাথে একটি চুক্তি করেছে। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর কাছে সবজির প্রথম চালানটি পাঠানো হয়েছিল।
বক্তব্য প্রদানের আগে মুখ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী তাগে টাকি, সাংসদ তাপির গাও, স্থানীয় বিধায়ক কালিং ময়য়ং এবং নিনং এরিং, সিএইউ উপাচার্য অধ্যাপক অনুপম মিশ্র, ডিন ডঃ এ কে ত্রিপাঠীর উপস্থিতিতে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন এবং হোস্টেলের উদ্বোধন করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করছেন যে নতুন সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদেরকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।
কৃষি ভারতের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত, এবং কেন্দ্র এ চাষকে আরো বেশি লাভজনক করার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিলের কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না।
উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে জৈব চাষের সীমাহীন সম্ভাবনা ছিল, যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করছে। উত্তর-পূর্বে জীবিকার উন্নয়ন ও নিরাপত্তা আনতে কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে, কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
টাকি তার ভাষণে কৃষকদের আয় এবং রপ্তানির সুযোগ বাড়ানোর জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফসলের গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং উৎপাদনের টেকসই বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক ও জৈব চাষকে উৎসাহিত করেন।
গাও বলেন, আধুনিক চাষের কৌশল এবং বিপণন দেশে কৃষি-উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করবে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে অবদান রাখতে কৃষির একটি প্রধান ভূমিকা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য শিল্পের মতোই এখন কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশের যে কোনো জায়গায় ভালো দামে বিক্রি করতে পারে।
এ অনুষ্ঠানটি কলেজ অফ এগ্রিকালচার, কলেজ অফ হর্টিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি এবং পূর্ব সিয়াং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছিল।
আই. কে. জে/