স্পোর্টস ডেস্ক, সুখবর ডটকম: কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগালের গনকালো রামোস। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েই বাজিমাত করেছেন এ তারকা। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করে ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন তিনি।
অথচ, বিশ্বকাপ দলে থাকারই কথা ছিল না গনসালো রামোসের। কাল হ্যাটট্রিক করে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ২১ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ মুগ্ধ করে দিয়েছেন সবাইকে। দিয়েগো জোতা চোট না পেলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেই সুযোগ হতো না এই স্ট্রাইকারের।
গ্রুপ পর্বে পর্তুগালের তিন ম্যাচেই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তাঁকে গোটা ম্যাচ খেলাননি। কাল রোনালদোকে একাদশের বাইরে রেখে তাঁর পজিশনেই খেলিয়েছিলেন তাঁকে। আর তাতেই বাজিমাত করলেন পর্তুগালের হয়ে মাত্র চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামা এই খেলোয়াড়।
বেনফিকার একাডেমিতেই ফুটবলার হয়ে উঠেছেন রামোস। তাঁকে পর্তুগালের ভবিষ্যৎ তারকাই বলা হচ্ছিল। তিনি কতটা কী পারেন, সেটি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রমাণ করলেন। এবারের মৌসুমে বেনফিকার হয়ে পর্তুগিজ লিগে ১১ গোল করেছিলেন। কাল হ্যাটট্রিক করে ইউরোপের নামী ক্লাবগুলোর নজরে যে তিনি পড়েছেন, সেটি বলাই যায়।
২০১৯ সালে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইউরোপিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ খেলেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১৩ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে বেনফিকার একাডেমিতে নাম লিখিয়েছিলেন রামোস। শুরু থেকেই একাডেমিতে তিনি ভালো ফিনিশার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। গোলে শট নেওয়ার ক্ষমতা, তা থেকে গোল বের করে আনার সামর্থ্য তাঁকে খুব দ্রুতই সম্ভাবনাময় ফুটবলার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। এবারের পর্তুগাল দলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বের্নার্দো সিলভা, ওতাভিওদের মতো প্লে–মেকার থাকায় রামোসের শুটিং সামর্থ্য কোচ সান্তোসের জন্য দারুণ এক সম্পদ।
এম/
আরো পড়ুন:
টিভিতে দেখুন আজকের খেলা(৭ ডিসেম্বর ২০২২)