ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীন। রোগীর চাপে বেহাল দশা হাসপাতালগুলোর। শিল্পাঞ্চলীয় প্রদেশে ঝেজিয়াংয়ে দিনে ১০ লাখের মতো সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।
তিন দশকেরও বেশি জরুরি চিকিৎসায় নিয়োজিত বেইজিংয়ের একজন চিকিৎসক হাওয়ার্ড বার্নস্টেইন। নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে এমন চিত্র কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় রোগীরা তার হাসপাতালে আসছে। প্রায় সবাই বয়স্ক। অনেকেই আসছে খুব অসুস্থ অবস্থায়। অনেকের কোভিড ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ রয়েছে।
হাওয়ার্ড বার্নস্টেইনের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে চিকিৎসা খাতে কর্মরত অন্যদের কণ্ঠেও। রাজধানী বেইজিংয়ের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি চাপ বেড়েছে শ্মশানগুলোতেও।
হাওয়ার্ড বার্নস্টেইন জানান, তার বেইজিং ইউনাইটেড ফ্যামিলি হসপিটাল ভবনটি ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত রোগীতে ভরে গেছে। জরুরি বিভাগ এবং অন্যান্য ওয়ার্ডের পাশাপাশি আইসিইউ পর্যন্ত রোগীতে ভরে গেছে।
বেইজিংয়ের বেসরকারি র্যাফেলস হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার সোনিয়া জুটার্দ বুরেউ বলেন, রোগীর সংখ্যা তাদের স্বাভাবিক মাত্রার থেকে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি।
প্রায় এক দশক ধরে চীনে কাজ করা সোনিয়া জুটার্দ বুরেউর আশঙ্কা, বেইজিংয়ে এই তরঙ্গের সবচেয়ে খারাপ সময়টি এখনও আসেনি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি জিরো-কোভিড নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পর থেকেই করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জিরো-কোভিড নীতির আওতায় লাখো মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে টানা লকডাউনে রাখা হয়েছিল।
এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করায় দেশটিতে সংক্রমণের তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ বন্ধ করে এনএইচসি।
এম এইচ/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন:
করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে করণীয় কী?