spot_img
24 C
Dhaka

১লা এপ্রিল, ২০২৩ইং, ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

করোনায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু টিপস : ড. বিজন কুমার শীল

- Advertisement -

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক: ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যখন দেহের ইনসুলিন নামক হরমোন রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। এক্ষেত্রে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বা চিনি শরীর থেকে বের হতে থাকে যে কারণে রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। সেজন্য একে বহুমূত্র রোগও বলা হয়ে থাকে।

মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে এই যুগে সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ হল ডায়াবেটিস। এছাড়া বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা হলেন- হার্ট ফেইলিউরের রোগী, কিডনি ফেইলিউরের রোগী, হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগী। এ ছাড়া আছেন যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, যেমন কেমোথেরাপি নেওয়া রোগী ইত্যাদি।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটুকু? ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে তাকে কিভাবে সুস্থ করে করে তোলা যাবে? এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত বিজ্ঞানী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা সনাক্তকরণ কিট ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ গবেষক টিমের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবার ক্ষেত্রেই সমান। করোনা তো দেখবে না কে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা কে অন্য কোন রোগে আক্রান্ত! সবার কাছেই সে সমানভাবেই যাবে। তবে সে যেখানে নিজের মতো করে বাসা বাঁধতে পারবে সেখানেই সে তার বিধ্বংসী কার্যক্রম চালাবে। ডায়াবেটিস তো সেখানে একটা ইস্যু মাত্র। মূলত যেটা হয়ে থাকে, করোনা হওয়ার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঘটে। বিশেষ করে, ফুসফুসে কিন্তু বিভিন্ন ইনফেকশন হয়, মুখের ভেতরে যখন ক্ষতের সৃষ্টি করে তখন সেখানেও দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঘটে। এক্ষেত্রে একটু জটিলতা দেখা দেয়। আমার মনে হয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা যদি এন্টিসেপ্টিক দিয়ে, চা বা ফিটকিরি দিয়ে নিয়মিত গারগল করেন তাহলে কিন্তু এই সংক্রমণগুলো সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, তাছাড়া অভিজ্ঞ ডাক্তার আছেন যারা এ সকল বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ, উনারা এটা দেখতে পারেন। আপনারা সবাই জানেন যে, ­ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আপনাদের সবার দোয়ায় উনি এখন সুস্থ। উনি নিজের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থাপত্র মেনে চলেছেন- আমি মনে করি, এটা একটা মডেল। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য। স্যারের সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালাইসিস নিতে হয়, উনার নিউমোনিয়াও ছিলো। উনি যদি করোনা ভাইরাসকে জয় করতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয়, সবার পক্ষেই করোনা ভাইরাসকে জয় করা সম্ভব।

এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীর করোনাভাইরাস সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেও (যেমন, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) সরকার নির্দেশিত কেন্দ্রগুলোতে রোগ শনাক্তকরণ ও পরবর্তী সেবার জন্য দ্রুত সাহায্য নিতে হবে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ইনসুলিন শুরু করতে হবে। ইনসুলিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। খালি পেটে শর্করা ৬ মিলিমোলের কম আর খাবার দুই ঘণ্টা পরে ৮ মিলিমোলের কম মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে।

যদি উপসর্গ দেখা দেয়, করোনা নিশ্চিত না হলেও, নিজেকে আলাদা করতে হবে। অর্থাৎ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। শরীর বেশি খারাপ না হলে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে বা সেবাকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় দ্রুত। এছাড়া বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে প্রথমেই বয়স্ক আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে ফেলতে হবে।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ