নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি শুক্র ও শনিবারের সঙ্গে যোগ হয়েছে বড়দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিন দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। আর তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা। টানা তিন দিন লাখো পর্যটকের পদভারে মুখর থাকবে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ব্যাবসায়ীরা।
আজ ২৩ ও আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বরের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৫ তারিখ বড়দিনের ছুটিতে অগ্রিম হোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়েছেন পর্যটকরা। এতে ২৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেলের সব কক্ষ বুকড হয়ে গেছে।
হোটেল মালিকরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছে।
কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে।
অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, হাজারো পর্যটকের ভিড়। কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা।
পর্যটন মৌসুমে বিনোদনপ্রেমিদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক কামরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, পরীক্ষা শেষে নিরিবিলি প্রকৃতির সঙ্গে সময় পার করতে কক্সবাজার চলে আসছি। রুম পেতে একটু কষ্ট হয়েছে।
কুমিল্লা থেকে সপরিবার আগত পর্যটক নজরুল ইসলাম খান বলেন, বছরের শেষে ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছি। আসার সময় রুম বুকিং দেওয়া হয়নি। এখানে এসে রুম না পেয়ে একটু কষ্ট হচ্ছে।
হোটেল দি প্রেসিডেন্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ ফয়েজ বলেন, ডিসেম্বরে আমাদের পর্যটক মৌসুম শুরু হলেও প্রথম দিকে পর্যটকের তেমন সাড়া পাইনি আমরা। আজ থেকে যে টানা ছুটি ছিল সেটাতে আমাদের হোটেলে শতভাগ বুকিং হয়েছে। এতে আমরা ক্ষতি পূরণ করতে পারবো।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন ধরে আমাদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছিল। এতে হতাশায় ভুগছিল পর্যটক ব্যবসায়ীরা। টানা তিনদিনের ছুটিতে পুরো কক্সবাজারে সব হোটেল বুকিং হয়েছে। অনেক পর্যটক রুমের জন্য কল দিচ্ছে তারপরও আমরা তাদের রুম দিতে পারছি না।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কয়েকলাখ পর্যটকের সমাগম হতে পারে। তাই আমাদের টুরিস্ট পুলিশের একাধিকও টিমও কাজ করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই সজাগ আছি।
কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে আছি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি ।
এম/
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ মেট্রিক টন