নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: দেশের জ্বালানি তেল সংকটের মধ্যেই মিললো সুখবর। এই মুহূর্তে কাতার, ওমান-সহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ৩৬ লাখ টন জ্বালানি আমদানির চুক্তি রয়েছে। এই তেল দেশে আসছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রুনাই থেকে বাড়তি ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করতে পারলে বিদ্যমান জ্বালানি সংকট কেটে যাবে। সেইসাথে, ডলার সাশ্রয়ে ডেফার্ড পেমেন্ট বা বাকিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিতে পারলে অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপও পড়বে না বলে মত দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০২৩ সালের শুরুতে বছরে ১৫ লাখ টন লিক্যুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি আমদানি করা সম্ভব হবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, “আমরা যদি ১ বা ২ মিলিয়ন টন দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তিতে পেতে পারি, বর্তমানে কাতার-ওমানের সঙ্গে যে চুক্তি আছে একই ধারায়। বা এদিক-ওদিক করে যদি তেলের দামের উপর আমরা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিটা করতে পারি তাহলে অবশ্যই অ্যানার্জি সিকিউরিটি ইমপ্রুভ করবে। আমি মনে করি, এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।”
ডলার সংকটের কারণে বিনাসুদে ডেফার্ড পেমেন্ট বা দেরিতে মূল্য পরিশোধ সুযোগ পেলে অর্থনীতির ওপরও চাপ বাড়বে না। তাই জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ব্রুনাইয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুতের সংকটও থাকবে না বলে আশা করছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
এম এইচ/ আইকেজে
আরও পড়ুন:
খাদ্যের দাম কমেছে কোন বাজারে, মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন সাংবাদিকদের