ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: সম্প্রতি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান সরকার, কেন্দ্রকে সতর্ক করে বলেছে যে, কেন্দ্র যদি অবিলম্বে জাতীয় অর্থ কমিশনের (এনএফসি) অধীনে এ প্রদেশের পাওনা অর্থ প্রদান না করে, তবে তারা আগামী মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারবে না।
গিলগিট-বাল্টিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং আজাদ জম্মু কাশ্মিরের পর, সর্বশেষ প্রদেশ হিসেবে বেলুচিস্তান ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আর্থিক সাহায্যের অভাবের অভিযোগ জানালো।
প্রাদেশিক অর্থ বিভাগের মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর), এনএফসি এওয়ার্ডের অধীনে প্রাদেশিক সংস্থান থেকে বেলুচিস্তানের ১৩১০ কোটি রুপি পাবার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেলুচিস্তানকে মাত্র ১০১০ কোটি রুপি প্রদান করা হয়েছে।
প্রায় ৩০০ কোটি রুপির ঘাটতি প্রদেশে গুরুতর আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এ অর্থ যদি অবিলম্বে প্রদান না করা হয়, তবে প্রাদেশিক সরকার তার কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবে না।
এ বিষয়ে বেলুচিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানান, এমনিতেই বেলুচিস্তানকে ৫০-৮০ কোটি টাকা কম প্রদান করা হচ্ছে, যার ফলে প্রদেশের বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
২০২১ সালে, বেলুচিস্তানকে ১১২ কোটি রুপি থেকে বঞ্চিত করা হয়।
সংবিধান অনুযায়ী, এনএফসি এওয়ার্ডের ৯.০৯ শতাংশ বেলুচিস্তানের। ২০১০ সালে, সপ্তম এনএফসি এওয়ার্ডে এ অংশ নির্ধারিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী, ফেডারেল সরকারের এ অংশ হ্রাস করার ক্ষমতা নেই।
অন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ বিশাল ঘাটতি শুধুমাত্র অনুন্নয়ন ব্যয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেটকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর আবদুল কুদুস বিজেঞ্জো ইতিমধ্যেই ফেডারেল সম্পদে প্রদেশের সাংবিধানিক অংশ বাড়ানোর জন্য একটি নতুন এনএফসি এওয়ার্ডের দাবি করেছেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, ভয়াবহ বন্যার পর বেলুচিস্তানে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ফেডারেল সরকার একদম সাহায্য করেনি।
সাম্প্রতিক বন্যার সময় এ প্রদেশ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রায় ৮০ কোটি রুপি ব্যয় হয়। কিন্তু কেন্দ্র সরকার এতে কোন সাহায্যই করেনি।