স্পোর্টস ডেস্ক, সুখবর ডটকম: এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। পেলের আসল নাম। দো নাসিমেন্তো তার পারিবারিক নাম। এনডন আরান্তেস বাবা-মায়ের দেওয়া নাম। ফুটবল খেলতে এসে ওই নাম হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী এক নামে ফুটবল কিংবদন্তি পেলে নামে পরিচিত হয়েছেন। ভক্তদের কাছে সর্বকালের সেরা ফুটবলার মানে ‘পেলে’।
ওই পেলে বৃহস্পতিবার রাতে ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন। ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তার। ২১ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ার। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী এডসন কীভাবে পেলে হয়ে উঠলেন?
ঘটনার সূত্রপাত তার শৈশব্যেই। ১৯৪০ সালে জন্ম নেওয়া পেলে ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলের জার্সি পরেন। তার আগে তার ফুটবল শুরু আর দশটা ব্রাজিলিয়ানের মতোই। রাস্তায়, স্থানীয় মাঠে। বাল্যকাল থেকেই তিনি স্ট্রাইকার পজিশনে অসাধারণ খেলতেন। প্রতিপক্ষ তাকে আটকাতে পারতো না।
গতি, দুই পায়ের সমান জাদুতে পেলে ম্যাচ একপাক্ষিক করে ফেলতেন। সেজন্য প্রতিপক্ষকে একুট স্বস্তি দিতে এক ম্যাচে তাকে গোলপোস্টে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পেলের চাচা জর্জের মতে, গোলপোস্টেও দারুণ সব সেভ করেন পেলে। তখন একজন তাকে ‘বেলে’ নামে ডাকেন।
বেলে ছিলেন পেলের বাবার সঙ্গে খেলা একজন গোলরক্ষক। সেখান থেকেই বন্ধুরা তাকে পেলে নামে ডাকতে শুরু করেন। যদিও নামটি তার পছন্দ ছিল না। কারণ আবিষ্কারক থমাস আলভা এডিসনের নামের সঙ্গে মিল থাকায় এডসন নাম নিয়েই গর্ব করতেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
কিন্তু পেলে নামে পরিচিতি বাড়তে থাকে তার। নামটা নিয়ে তিনি ‘অপমানবোধ’ করতেন। কারণ পেলের নামের কোন অর্থ তার জানা ছিল না। পরে জানতে পারলেন যে, পেলে শব্দের অর্থ ‘অলৌকিক’। তখন থেকে নামটি পছন্দ হতে শুরু করে। এক সাক্ষাৎকারে পেলে বলেছিলেন, ‘এতো বছর আমি দু’জন ব্যক্তি হয়ে বাঁচতে শিখেছি। একজন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজ এডসন। অন্যজন পেলে। যে ফুটবল খেলে।’
পেলের আরও এক নাম ‘ও রেই’: এডসন থেকে পেলে হয়ে ওঠা এই কিংবদন্তির আরও একটি নাম আছে। ‘ও রেই’। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর তাকে ওই ডাকনাম দেওয়া হয়। ফরাসি ভাষায় যা ‘লি রয়’। এছাড়া ১৯৭০ বিশ্বকাপে নিজের ও দেশের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের পর পেলের নাম দেওয়া হয় ‘কিং অব ফুটবল’।
এম/
আরো পড়ুন: