spot_img
25 C
Dhaka

৩০শে মার্চ, ২০২৩ইং, ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

ঋণ খেলাপিদের সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার স্থগিত

- Advertisement -

সুখবর রিপোর্ট : ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাই কোর্ট।

ওই সার্কুলার স্থগিত চেয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ নিজেই শুনানি করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন মো. মনিরুজ্জামান।

আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা ওই সার্কুলারকে আদালত ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

“পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ মে আদালতে গিয়ে বলেছিলাম, এ সার্কুলারটি স্থগিত করা হোক। সে সময় শুনানিতে আদলত বাংলদেশের ব্যাংকের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেছিল এ ধরনের সার্কুলার হয়েছে কিনা। বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হল, এ ধরনের কেনো সার্কুলার হয়নি।

“আদালত সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর না করে বলেছিল, তালিকা দিতে হবে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত তাদের সময় দেয় আদালত। এর প্রেক্ষিতে ১৬ মে বিকেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারটা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেটিই রোববার আমরা চ্যালেঞ্জ করে স্থগিত চেয়েছি।”

মনজিল মোরসেদ বলেন, “২ শতাংশ দিয়ে তারা ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে মুক্তি পাবে, সিআইবি তে নাম থাকবে না, তখন ব্যাংক থেকে নতুন করে আবার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যবে। যাতে ব্যাংকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে।

“এর প্রেক্ষিতেই আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম যে, সার্কুলারটা মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হোক। আদালত ২৪ জুন পর্যন্ত এ সার্কুলারের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছে। ওই দিন পরবর্তী আদেশ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তালিকা দেওয়ার পরে।”

বাংলাদেশ ব্যাংক, ফাইল ছবি বাংলাদেশ ব্যাংক, ফাইল ছবি আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার নিয়ে কী বলেছে জানতে চাইলে মনজিল বলেন, “মন্তব্য তো করেছেন অনেক। বলেছেন এই সার্কুলার বাংলাদেশের ব্যাংকের দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন।

আরেকটা বলেছেন যে, যারা ঋণ খেলাপি, তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাচার করা হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নাই।

আবার যদি তারা সুযোগ পায় তাহলে তারা আরও এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে যাবে।”
সরকার ব্যাংকগুলোকে ঋণের সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিলেও ব্যাংকগুলো যে তা মানছে না- সে বিষয়টিও শুনানিতে এসেছে বলে মনজিল মোরসেদ জানান।

তিনি বলেন, “তারা তো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও মানছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্দেশ্যই দেখা যাচ্ছে, যারা লুটপাট করছে টাকা পয়সা লোন নিয়ে পরিশোধ করছে না তাদেরকে সাপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নেয়। এটাই বলেছে আদালত।”

হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো নির্দেশনা পাইনি।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ