মোঃ জসীম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, সুখবর ডটকম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার ছোটদেওয়ান পাড়ার রওশন আলীর স্ত্রী আকলিমা আক্তার রেশমা একজন উদ্যোক্তা হতে চান। স্নাতক ডিগ্রীধারী আকলিমা আক্তার রেশমা সিঙ্গার বাংলাদেশ লিঃ কর্তৃক আয়োজিত ২০০৩ সালের ড্রেস মেকিং ও এমব্রয়ডারি; জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ২০১৬ সালের ফ্যাশন ডিজাইন, ক্যাটারিং ও মাশরুম এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ২০১৭ সালের বিউটিফিকেশন, হস্তশিল্প ও পোশাক তৈরির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে হস্তশিল্পের কাজে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
আকলিমা আক্তার রেশমা বর্তমানে জাতীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্পের সরাইল শাখার মাধ্যমে ব্লক, বাটিক, এম্বোশ, জামা তৈরি, শাড়ি, পিলু কভার, বিছানার চাদরে ডিজাইন এবং নকশীকাঁথা তৈরির কাজে নারীদের একজন প্রশিক্ষক। এ ধরনের কাজে তিনি চার শতাধিক নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি নাসিরনগর উপজেলায়ও জাপানী সংস্থা জাইকার প্রকল্পে পুঁথির কাজের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
আকলিমা আক্তার রেশমা কাঁদা মাটি, নিউজ পেপার, পাট, বাঁশ, পুঁথি, সিমেন্ট, পুরনো জিন্সেরপ্যান্ট, ভূট্টা পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শো পিছ, পার্স, ব্যাগ, ফুলদানি, কলমদানি, কলস, ফুল, ফল, থালা-বাটি, মোবাইল কভার, ফুলের টব ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। তিনি তৈরি করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের বেকারি ও রেষ্টুরেন্ট আইটেমও।
আকলিমা আক্তার রেশমা সুখবর ডটকম প্রতিবেদককে বলেন, হস্তশিল্পের কাজে আমার আগ্রহ ছিল বিধায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংস্থা বা লোকের কাছ থেকে হাতে কলমে কাজ শিখেছি। সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় আমার হস্তশিল্প কাজের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।
বাংলাদেশের নারীরাও পারে হস্তশিল্পের কাজ করে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে। সরকারসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যদি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে দেশে অনেক ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীরা আর ঘরে বসে থাকবে না। সমাজের অবহেলিত নারীরাও সুন্দরভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা পাবেন।