ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভারতের আসামের পুথিমারী এলাকার চার শতাধিক মহিলা প্রায় ১০০০ বিঘা জমিতে কৃষিকাজ করে এক বছরে ২৫ লক্ষ টাকা লাভ করে নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ স্থাপন করেছেন। এ বছর তারা এই আয়কে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন।
যখন এ অঞ্চলের অধিকাংশই বেকারত্ব সমস্যায় ভুগছেন, তখন সোনিতপুর জেলার বরচালা এলএসি-এর অধীনে পুথিমারী এলাকার মহিলারা ব্রহ্মপুত্র ও গাভরু নদীর তীরে প্রায় ১০০০ বিঘা জমিতে কৃষিকাজ করে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করেছেন।
সোনিতপুর জেলার পুথিমারী এলাকাটি কৃষিক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলো। এই এলাকার শিক্ষিত মহিলারা কৃষিকাজ করে এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে সারাদেশের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছেন। এমনকি যারা ভাবতো কৃষিক্ষেত্রে নারীদের কোনও অবদান নেই, তাদের চিন্তাধারাও পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছেন তারা।
“জয়মতি ফার্মার্স কোম্পানি লিমিটেড”-এর ব্যানারে এ নারীরা সরিষা, আলু, কালো মসুর, ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করে বিভিন্ন মৌসুমী সবুজ শাকসবজির পাশাপাশি হেক্টর পরিমাণ অনুর্বর জমিকে সবুজ শ্যামল ক্ষেতে পরিণত করেছেন। অন্যান্য জাতের ফসলের পাশাপাশি, তাদের ক্ষেতগুলোতে মরিচ, মটরশুটি, কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদির মতো সবুজ শাকসবজিরও চাষ করা হচ্ছে।
খামারের অন্যতম সদস্য কমল কুমারী বোরো জানান, তাদের উৎপাদিত ফসল পুরো অঞ্চলে বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের ট্রাক্টর চালানো এবং ক্ষেত চাষ করার ছবি ছড়িয়ে পড়লে, সবাই তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে। তারা শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্যেও আদর্শ হয়ে উঠেছেন। “জয়মতি ফার্মার্স কোম্পানি লিমিটেড” অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, নিষ্ঠার সাথে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুশীলন করলে কৃষির মাধ্যমে সৎ ও সুন্দর জীবিকা নির্বাহ করা যায়।
এই চাষি মহিলারা এখন অন্যদের জন্যেও আদর্শ হয়ে উঠেছেন যার ফলে এলাকায় একটি কৃষি বা সবুজ বিপ্লব প্রজ্বলিত হয়েছে। তারা মনে করেন যে আসাম রাজ্যটি একটি কৃষিভিত্তিক অঞ্চল যেখানে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলের অন্যান্য অংশের মহিলাদেরও উচিত উর্বর জমি ব্যবহার করতে এগিয়ে আসা।
আই. কে. জে/