ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: পাকিস্তানের শিয়া ওলামা কাউন্সিল, পাকিস্তান পিপলস পার্টি-শহীদ ভুট্টো, সিন্ধু তরাক্কি-পাসন্দ পার্টি এবং তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের কর্মীরা আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং ময়দার ঘাটতির প্রতিবাদে, গত শুক্রবার পৃথক বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ সমাবেশগুলো লারকানা অঞ্চলের স্থানীয় প্রেসক্লাবের বাইরে সংঘটিত হয়।
শিয়া ওলামা কাউন্সিল ও সিন্ধু তরাক্কি পাসন্দ পার্টির কর্মীরা মিছিল বের করে প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ করে। জেলায় চলমান ময়দার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলগুলোর নেতারা। তারা জানান, দেশের জনগণের বিপুল চাহিদা মেটাতে আটা সরবরাহের পরিমাণ পর্যাপ্ত নয়।
শিয়া ওলামা কাউন্সিল এবং সিন্ধু তরাক্কি পাসন্দ পার্টির কর্মীরা যেসব মজুতদারেরা অতিরিক্ত দামে আটা বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। দেশের সব দোকানে ৬৫ টাকা নিয়ন্ত্রিত মূল্যে যেন আটা বিক্রি হয় সে ব্যাপার নিশ্চিত করতেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় কর্মীরা।
সাজ্জাদ হুসাইনির নেতৃত্বে টিএলপি কর্মীরা জিন্নাহবাগের প্রেসক্লাবে পৌঁছানোর আগে শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। তাছাড়া স্থানীয় দলীয় নেতারা জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে আটা দিতে ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন এবং বলেন যে জনগণকে মজুতদার ও মুনাফাখোরদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
টিএলপি কর্মীরা দাবি জানান যে, প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আটা আছে এবং তা নির্দিষ্ট দামেই বিক্রি হচ্ছে এ ব্যাপারগুলো সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
তারা বলেন, জনগণ তাদের জীবনধারণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কিন্তু সরকারই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। টিএলপি-এর নেতাকর্মীরা প্রতি কেজি আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
পিপিপি-এসবি-এর কর্মীরা প্রেসক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ করে এবং জেলায় আটার ঘাটতির প্রতিবাদে অনশন পালন করে। তারা জোর দিয়ে বলে যে পাকিস্তান এই মুহুর্তে এক দিক দিয়ে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ মুনাফাখোরদের হাতে কষ্ট পাচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারি, ভর্তুকি মূল্যে আটা কিনতে গিয়ে একজন নাগরিক পদদলিত হয়ে মারা যান। গুলিস্তান-ই-বলদিয়া পার্কের বাইরে ২০০ টি আটার ব্যাগ বহনকারী দুটি গাড়ি যখন আটা বিক্রি করছিল, তখন কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
সিন্ধুর অন্যান্য অংশে, যেখানে মিনি-ট্রাক বা ভ্যানের মাধ্যমে আটা বিক্রি করা হচ্ছে, সেখানেও একই রকম বিশৃঙ্খলার দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
শহীদ বেনজিরাবাদের সাকরান্দ শহরে সরকারি দরে আটা কেনার সময় একটি মিলের বাইরে পদদলিত হয়ে দুই নারী ও এক নাবালিকা আহত হয়েছেন। পাকিস্তানে চলমান সংকটের মধ্যে গম ও আটার দাম আকাশচুম্বী।
জানা যায়,করাচিতে ময়দা প্রতি কেজি ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। ইসলামাবাদ এবং পেশোয়ারে, ১০ কেজি আটার ব্যাগ ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ২০ কেজি আটার ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকায়।