ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা গত রবিবার এক সাক্ষাৎকারে জানান, গোটা বিশ্ব এক জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী তিনটি দেশ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপ ইতিমধ্যেই আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশই মন্দার মধ্যে থাকবে। এমনকি যে দেশগুলো বর্তমানে মন্দা পরিস্থিতিতে নেই, তারাও এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে।
এই আর্থিক মন্দার বিভিন্ন কারণ তিনি খুঁজে বের করেছেন। যেমন, কোভিড-১৯ মহামারী, বড় শক্তিগুলোর মধ্যকার ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির প্রতিক্রিয়ায় সুদের হার বৃদ্ধি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন হয়তো মন্দা এড়াতে পারে। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধের দ্বারা প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপের পরিস্থিতি আরও খারাপ দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে চীনের মন্দাভাব সারাবিশ্বে এক মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। কঠোর শূন্য কোভিড নীতির কারণে এই দেশটি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ নীতি দেশের সরবরাহ শৃঙ্খল, ব্যবসা, বিনিয়োগ ব্যবস্থা সব কিছুকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
আইএমএফ প্রধান বলেন যে, ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় কম হতে পারে। বিগত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় কম হতে পারে। কোভিডের আগে, চীন বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ৩৪, ৩৫, ৪০ শতাংশ প্রদান করত।
গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে কোভিড বিধিনিষেধ পরিত্যাগ করেছে চীন এবং পুনরায় ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু চালু করায় তা বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি প্রদান করেছে।
তবে তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় চীনে করোনার ক্রমবৃদ্ধি ঘটছে, যা মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়। সেই সাথে উৎপাদন ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আগামী কয়েক মাস চীনের জন্য খুব কঠিন একটা সময়। চীনা প্রবৃদ্ধির উপরেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জর্জিভা আশা করছেন, দেশটি সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবার অর্থনৈতিক দৃঢ়্তা অর্জনে সক্ষম হবে।
আই. কে. জে/