spot_img
24 C
Dhaka

১লা এপ্রিল, ২০২৩ইং, ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

অসাম্প্রদায়িক পরিচয় মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: সম্প্রীতি বাংলাদেশ

- Advertisement -

সুখবর ডেস্ক: বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রাক্কালে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তি সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এনে দেবে নতুন মুক্তি। বিবৃতিতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বর। ৪৯ বছর আগে এই মাসের ১৬ তারিখে পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের রাজনৈতিক মুক্তির পর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সাংবিধানিক সংস্কারের পথে এগিয়েছিলেন। ঠিক এই সময় তাকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার শত্রু এবং পাকিস্তানের হানাদারদের কোলাবরেটররা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছর পর ক্ষমতা দখল করে এবং দীর্ঘ একুশ বছর এই ক্ষমতা নানা পরিচয়ে কুক্ষিগত করে রাখে। এই একুশ বছর স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা রাজাকার কোলাবরেটরদের গাড়িতে উঠেছে। জাতীয় সংগীত অবহেলিত হয়েছে। রাষ্ট্রের চার মূল আদর্শের ভিত্তি নষ্ট করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংবিধান বিকৃত করা হয়েছে।

বাঙালির স্বাধীন অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার অবাধ বিকাশের পথে সবচেয়ে বড় বাধা সাম্প্রদায়িকতা। কিন্তু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গত ৫০ বছর যাবত যে অর্জন করেছে, অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, স্বাধীন সমাজ ব্যবস্থা, উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সব কিছু ধ্বংস করে দেশটাকে আবার মধ্যযুগীয় অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুরা এখন সচেষ্ট। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা এখনো চলছে।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। দেশকে পিছিয়ে দিতে চায় একটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। দেশের মানুষ বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্যকেই সব সময় ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের সম্মিলিত শক্তি সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এনে দেবে নতুন মুক্তি, আমরা এই আশাবাদ পোষণ করি।’

স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, উপদেষ্টা শফিকুর রহমান এমপি, শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আরমা দত্ত এমপি, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), মেজর জেনারেল জন গোমেজ (অব.), ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, সদস্য জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. বিমান বড়ুয়া, ড. অসীম কুমার সরকার, ডা. নুজহাত চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা মিহির কান্তি ঘোষাল, তাপস হালদার, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, সাংবাদিক কুদ্দুস আফ্রাদ, আশরাফ আলী, বেলাল আহমেদ, শামসুল আলম সেতু, সলিমুল্লাহ সেলিম, বরুণ ভৌমিক নয়ন, কল্যাণ সাহা, অনয় মুখার্জী, সাইফ আহমেদ, ডা. মাসুদ আলম. ডা. সুনান বিন ইসলাম।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ