বিনোদন ডেস্ক, সুখবর ডটকম: অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন এপার-ওপার দুই বাংলাতেই এখন জনপ্রিয়। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘খুফিয়া’ ও ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’—সিনেমা ও সিরিজে তার অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক। পর্দায় তার ঝলকানি, অভিনয় সবই দুর্দান্ত। এসব তো গেল পর্দার জীবন। কিন্তু কয়েক বছর আগে ব্যক্তিজীবন মোটেও এমন ছিল না।
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পরে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন তার স্বামী।
শুধু বৈবাহিক ধর্ষণই নয় বাঁধন জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়িতে তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির হিংসার শিকারও হন। অভিনেত্রী ভাষ্য, ‘আমার সাবেক শ্বশুরবাড়ির মানুষ পড়াশোনা করতে দিত না।
বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে দিতে বাধ্য করে আমাকে। সবই মেনে নিয়েছিলাম আমি। ভেবেছিলাম এভাবেই হয়তো থাকতে হয়।
বাঁধনের মতে বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে অনেক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি। সেই সব দিনগুলো ছিল তার জীবনের বিভীষিকাময় অধ্যায়।
বাঁধন এর আগে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির মানুষের অত্যাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে একাধিকবার কথা বলেছেন। বিচ্ছেদের পর স্বামীর সঙ্গে সন্তান নিয়ে লড়াই ও সংগ্রামের কথাও বলেছেন। তবে এবার কলকাতার আনন্দবাজারের প্রকাশিত বৈবাহিক জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা উঠে এলো।
বাঁধন ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর সিদ্দিকী নামে একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাঁধন। পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।
বিয়ের পরে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিছুদিন অভিনয়ে বিরতি পড়ে তার। কিন্তু সংসার জীবন সুখের না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়।
তবে বাঁধন থেমে থাকেনি। সামাজিকতার শেকলে আটকে যাননি। নিজেকে সামলে আবার পথচলা শুরু করেছেন তিনি। দেখাচ্ছেন একের পর এক চমক।
বাঁধন সর্বশেষ ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ দিয়ে ব্যাপক আলোচিত হোন। নেটফ্লিক্সে তার অভিনীত ‘খুফিয়া’র ঝলকেও প্রশংসিত।
এসি/ আইকেজে
আরো পড়ুন:
এবার ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ নিয়ে ফিরছেন পপি