ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ২০২২ সালে পাকিস্তানে ৪১৭ জন পাকিস্তানি, অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যার শিকার হয়েছেন। এর পেছনে প্রধান কারণগুলো হল অনাচার এবং নিরক্ষরতা।
এই ৪১৭ জনের মধ্যে ১৫২ জন পুরুষ এবং ২৬৫ জন মহিলা। পাঞ্জাব প্রদেশেই মোট ১৫২ টি অনার কিলিং এর মতো ঘটনা ঘটেছে। ৯৬ টি মামলা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিন্ধু প্রদেশ।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪২টি, বেলুচিস্তানে ২১টি, গিলগিট-বাল্টিস্তানে একটি এবং ইসলামাবাদে একটি অনার কিলিং-এর ঘটনা ঘটেছে।
হিউম্যান রাইটস কমিশন অফ পাকিস্তান (এইচআরসিপি) সিন্ধুর সহ-সভাপতি, কাজী খিজার জানান, এখন পর্যন্ত অনার কিলিং এর ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি জানান, অনাচার, নিম্ন শিক্ষার হার এবং সামন্ত ব্যবস্থা, যার অধীনে প্রভাবশালী সামন্ত প্রভুরা উপজাতীয় ঐতিহ্যের নামে সমাজকে জিম্মি করে রেখেছিল, এটাই অনার কিলিং এর মতো ঘটনার কারণ। এই অনার কিলিং নিয়ে খুনিরা পর্যন্ত গর্ববোধ করে, তারা এটিকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে না। পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে তারা পরিবারের নারীদের হত্যা করে। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও যথাযথ তদন্ত পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করে না। এই ধরনের মামলাগুলো তদন্তের জন্য একটি ব্যবস্থা তৈরি করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) অনুসারে, নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা-ধর্ষণ, হত্যা, অ্যাসিড হামলা, গার্হস্থ্য সহিংসতা এবং জোরপূর্বক বিয়ে-পাকিস্তান জুড়ে একটি গুরুতর সমস্যা।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, মানবাধিকার রক্ষাকারীদের ধারণা অনুযায়ী,পাকিস্তানে প্রতি বছর তথাকথিত অনার কিলিংয়ে শত শত নারী নিহত হয়।