নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: যুগের প্রেক্ষাপটে অনলাইন মিডিয়াকে এখন আর উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, সব বয়সের মানুষই এখন ইন্টারনেটে সংবাদ পড়ে, ভিডিও দেখে, এমনকি বাচ্চারাও তাদের বিনোদনের জন্য অনলাইন ভিত্তিক কনটেন্ট ও ভিডিওর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাই এই নতুন বাস্তবতায় আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর সংবাদকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি তিনি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ইউনেস্কোর সহযোগিতায় শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তিনি এই প্রকল্পের পরিচালক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাহীন ইসলাম, এনডিসি।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর, বাংলানিউজ, জাগোনিউজ, ঢাকাপোস্ট, ঢাকাজার্নাল, ঢাকাপ্রকাশ, সারাবাংলা, ঢাকানিউজ, রেডটাইমস, সুখবর, শ্যামলবাংলা, টেকশহরডটকম, উলিপুরডটকম-সহ নিবন্ধিত ২০টি অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে সুখবর ডটকম ডট বিডি (SUKHABOR.COM.BD) এর নির্বাহী সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল জুয়েল অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, কর্মশালা পরিচালক আবুজর গাফফারী, রেডটাইমস ডটকম ডট বিডির প্রধান সম্পাদক সৌমিত্র দেব, ঢাকা পোস্টের মোঃ জসিম উদ্দিন, সারা জেরিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ আরো বলেন, কর্মশালায় প্রথমবারের মতো অনলাইন মিডিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যহত থাকবে। নিবন্ধিত ১৫২টি অনলাইন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ জন প্রতিনিধিকে এবার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাহীন ইসলাম, এনডিসি বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশে নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে ১৫২টি। অনিবন্ধিত আছে আরো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। তিনি অনলাইন গণমাধ্যম সংবাদকর্মীদের দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গুজব প্রতিরোধে এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর নেতিবাচক সংবাদ পরিহার করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম ও কর্মশালা পরিচালক মোঃ আবুজার গাফফারী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কর্মশালা সমন্বয়ক মোঃ ফাইম সিদ্দিকী।
বক্তারা বলেন, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রতিবেদন ও খবর তৈরি করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রচার করাই এ কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল।
শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সাফল্যের হার বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা আরো জোরদার করতে গণ্যমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান তারা।
কর্মশালায় ভুল তথ্য এড়িয়ে সঠিক সাংবাদিকতা করার নানান পদ্ধতিগত ও প্রযুক্তিগত কৌশল শেখানো হয়।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সৈকত ভৌমিক ও তাহমিনা তানিয়া।