ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: হাজার হাজার চীনা শিক্ষার্থী অন্য দেশে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা খুঁজে নেয়। এ অবস্থায় কিছুটা চাপের মুখেই চীনা সরকার বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অনলাইন ডিগ্রির স্বীকৃতির উপর থেকে তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
শনিবারে ঘোষিত এই নিষেধাজ্ঞার জন্য, অনলাইনে অধ্যয়নের জন্য নথিভুক্ত সমস্ত চীনা ছাত্রদের প্রথম সেমিস্টারের জন্য ক্যাম্পাসে থাকতে হবে – কারণ অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ কার্যক্রম শুরু হতে চলেছে।
এ ঘোষণার সময়, অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা চীনা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। যাদের মধ্যে ৮ হাজার জনের ভিসার মেয়াদ ৩০ জুনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
গত মাসে প্রায় ৫৫০০ জন অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায়, চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, একটি বিবৃতি প্রকাশ করে স্পষ্ট করে যে, যদি শিক্ষার্থীরা সময়মতো ভিসা না পায়, অথবা ফ্লাইট বা বাসস্থান খুঁজে না পায় তবে তারা তাদের ডিগ্রি প্রত্যয়িত করার সময় নিয়ম থেকে অব্যাহতি চাইতে পারে।
যে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই আসন্ন সেমিস্টারের জন্য অনলাইন অধ্যয়ন বেছে নিয়েছে এবং সেই দেশে সরাসরি পড়তে যেতে অক্ষম, তারাও চাইলে ছাড় পেতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয় যে, শনিবারের ঘোষণাটি মহামারী চলাকালীন শুধু একটি বিশেষ অনুশীলনকে বাতিল করেছে এবং মূল শংসাপত্রের নিয়মগুলোকে পুনরুদ্ধার করেছে।
শিক্ষার্থীদের ছাড়ের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করার আগে তাদের কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে স্বীকৃতির জন্য বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চীনা সরকারের ঘোষণার আগে, ৪৭,৪২৮ জন চীনা শিক্ষার্থী ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা শুরু করেছে। যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৩.৩% কম।
চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং ইরানের শিক্ষার্থীরা ভিসার জন্য আবেদন করার সময় দীর্ঘ নিরাপত্তা ও ক্লিয়ারেন্স চেকের সম্মুখীন হয়। তাদেরকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষাও করতে হয়েছিল।
চীনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজে আরো ৪৪২ জন কর্মীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রায় ২১৭,০০০ টি স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন চূড়ান্ত করা হয়। তাছাড়া আনুমানিক ১৬৭,০০০ টি ভিসা মঞ্জুর করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই চীন থেকে।
একই সময়ে, স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সময় গড়ে ৪০ দিন থেকে কমে ১৪ দিন করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী, জেসন ক্লেয়ার বলেছেন যে তিনি চীনা সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে উদ্ভূত স্বল্পমেয়াদী লজিস্টিক সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কাজ করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের (আইইএএ) সিইও ফিল হানিউড চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য যে কোনো ধরনের নমনীয়তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আই.কে.জে/