বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, সুখবর ডটকম: দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের বেজমেন্ট শনিবার গাড়িপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ‘অটো রেবেলিয়ন’ নামের শৌখিন গাড়িপ্রেমীদের একটি গ্রুপ সেখানে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। যেখানে গাড়িপ্রেমীরা নিজেদের গাড়ি প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি দেশের নামকরা ওয়ার্কশপগুলো প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তাদের মডিফাইড গাড়ি প্রদর্শন করে।
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর তীব্র শীত উপেক্ষা করে শৌখিন গাড়িপ্রেমীরা নিজেদের শখের গাড়ি নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। বেশির ভাগ গাড়িই ছিল স্পোর্টস কার এবং কাস্টমাইজড গাড়ি। গাড়ির ভোঁ ভোঁ শব্দে বেজমেন্ট এলাকায় তরুণদের মাঝে উন্মাদনা সৃষ্টি করে। তরুণ-তরুণীরা গাড়ির সঙ্গে ছবি তুলতে ও ভিডিও করে প্রদর্শনী উপভোগ করেন।
নিজেদের গাড়ি না থাকলেও অনেক গাড়িপ্রেমী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। তারা বিভিন্ন সুবিধা ও সেবার খোঁজ নেন। পাশাপাশি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন শিল্পপতি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারাও। এর মধ্যে ছিলেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক কামরুল ইসলাম।
অটো রেবেলিয়নের কর্মকর্তা (লিড স্ট্রাটেজি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল অপারেশন্স) এজেডএম রাফকাত বলেন, তৃতীয়বারের মতো এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি বাণিজ্যিক প্রদর্শনী নয়। গাড়িপ্রেমীরা এক দিনের জন্য মিলিত হয়ে তাদের জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারে সে লক্ষ্যেই এ আয়োজন। এবারের প্রদর্শনীতে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।
প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া স্পিডফায়ার মোটরস্পোর্টের স্বত্বাধিকারী আজওয়াদ আনোয়ার বলেন, কাস্টমাইজড গাড়ির প্রতি শখ থেকে গাড়ির ব্যবসায় আসা। শুরুতে নিজের ব্যবহারের জন্য গাড়ি কাস্টমাইজড করতাম, সংগ্রহ করতাম। আমার গাড়িগুলো বন্ধুবান্ধব, আত্মীস্বজনের পছন্দ হওয়ায় রাজধানীর বারিধারায় কাস্টমাইজড গাড়ি ও স্পোর্টস কারের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। নিশান স্কাই লাইন, নিশান জিটিআরের মতো স্পোর্টস কার আমার সংগ্রহে রয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্কশপও আছে। যেখানে গাড়ি মডিফাই করা হয়।
মোটোগাজি ওয়ার্কশপের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান নাদিম বলেন, বাংলাদেশে স্পোর্টস গাড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এসব গাড়ি উচ্চ সিসির হওয়ায় শুল্ক বেশি। তাই অনেকের শখ থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় সেসব গাড়ি কিনতে পারেন না। এ ধরনের গাড়িপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে মোটোগাজি এ গ্রেডের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে গাড়ি কাস্টমাইজড করে থাকে।
এম এইচ/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন:
২০২৩ হবে বৈদ্যুতিক গাড়ির বছর